সর্বশেষ নোটিশ
আমাদের কথা
রহিমাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের খাজা খান জাহান আলী (রঃ) এর স্মৃতি বিজড়িত বাগেরহাট সদর উপজেলা থেকে ০৬ কি.মি. পশ্চিমে যাত্রাপুর ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডের রহিমাবাদ গ্রামে অবস্থিত। এই বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৩ সালের ০১ লা জানুয়ারী । যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের পুণঃগঠন চলছে, দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত নিম্ন-নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ। ঠিক এই সময়ে ফেরেশতার মত এগিয়ে এলেন গ্রামের দানবীর বেগ ইউছুফ আলী যিনি বিদ্যালয়ের মূল ভবনের জন্য ৫১ শতক জমি দান করেছিলেন। আরও এগিয়ে এলেন অনেক বিদ্যোৎসাহী মোঃ আমজাদ আলী খাঁন, শেখ বেলায়েত হোসেন, শেখ ওয়াহেদ আলী, শেখ আশ্বাব উদ্দিন, বিষ্ণু পদ হালদার, সতীশ চন্দ্র দে প্রমূখ ব্যাক্তিরা নিরলস পরিশ্রম করে বহু বাধা বিপত্তি পেরিয়ে গড়ে তুললেন রহিমাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। তাদের একমাত্র ব্রতই ছিল এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে শিক্ষা ও জ্ঞানের আলো জাগিয়ে তোলা।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালের ০১ লা জানুয়ারী স্থাপিত হয়। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনি পর্যন্ত পাঠদান দেওয়া হয়। নবম ও দশম শ্রেনিতে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ চালু আছে। বিদ্যালয়ে ০৮ কক্ষ বিশিষ্ট একটি দ্বিতল ভবন, ০৬ ও ০৩ কক্ষ বিশিষ্ট ০২ টি টিনশেড ভবন রয়েছে। এখানে একটি বিজ্ঞানাগার, ০১ টি অডিটোরিয়াম ও ০১ টি আধুনিক শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব রয়েছে। এছাড়াও ০১ টি মসজিদ, ০১ টি সাইকেল গ্যারেজ ও একটি শহীদ মিনার রয়েছে। বিদ্যালয়টি তথ্য প্রযুক্তি, ক্রীড়া, পাঠাভ্যাস, স্কাউটস, রেডক্রিসেন্ট, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রভুত সাফল্য অর্জন করেছে। উল্লেখ্য ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভলিবলে বিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৯৯০ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বিদ্যালয়টি ডিজিটাল ক্যাম্পাস নামে পরিচিত অর্থাৎ বিদ্যালটির সকল কার্যক্রম অনলাইন ভিত্তিক।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
বিদ্যালয়টিকে একটি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর স্বপ্নের স্কুল হিসেবে গড়ে তোলা। শিক্ষার্থীদের আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশের যোগ্য কর্মমূখী নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। এই বিদ্যালয়টিকে বাগেরহাট জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাই।আমি রুপকল্প 2041 সালের বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি । স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।